1. psbd@gmail.com : Crazy VFX Media : Crazy VFX Media
  2. rafi@bdyoutubecommunity.com : Rafi Bhuiyan : Rafi Bhuiyan
ব্লগারদের জন্য সেরা ৩ ক্যামেরা ব্লগ তৈরির জন্য
ব্লগারদের জন্য ক্যামেরা
ব্লগারদের জন্য সেরা ৩ ক্যামেরা ব্লগ তৈরির জন্য

আসসালামুআলাইকুম বন্ধুরা আজ আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো আপনার বাজেটের মধ্যে বেস্ট ব্লগিং ক্যামেরা যারা নিয়মিত youtube ভিডিও তৈরি করে থাকেন অথবা ব্লগিং নিয়ে কাজ করতে চাচ্ছেন তাদের সবারই কম বেশি ব্লগিং ক্যামেরার প্রয়োজন হয়। এ জন্য আমরা সবাই কম বাজেটের মধ্যে ভাল মানের ক্যামেরা খুঁজে থাকি। আবার অনেক সময় দেখা যায় যে বাজেট কম থাকার কারণে অনেক সময় দেখা যায় যে কোন ক্যামেরা টি ভিডিও ধারন করার জন্য ভালো হবে তা বুঝে উঠতে পারেনা। তাই আপনাদের এই সমস্যা সমাধানের জন্য আমরা আপনাদের কাছে নিয়ে এসেছি কম বাজেটের মধ্যে বেস্ট ক্যামেরা।

Sony -zv1F ক্যামেরাটি আমাদের কাছে বেশ পছন্দ হয়েছে। কম বাজেটের এই ক্যামেরাটি বর্তমানে বেশ কয়েকজন জনপ্রিয় ইউটিউবার ব্যবহার করে যাচ্ছে। এছাড়াও তারা তাদের বিভিন্ন ভিডিওতে ক্যামেরা টি রিকমেন্ডেশন করেছে। মূলত যারা ইউটিউবে ব্লগিং ভিডিও নিয়ে কাজ করতে চাচ্ছেন অথবা রিসেন্টলি শুরু করেছেন। তারা এই ক্যামেরাটি ব্যবহার করতে পারেন। আমি নিজেরও ক্যামেরা টি ব্যবহার করেছি এবং ক্যামেরাটি ভিডিও কোয়ালিটি আমাদের কাছে যথেষ্ট মানসম্মত মনে হয়েছে। তবে সনি কোম্পানির এই মডেলের ক্যামেরাটির নাম শুনে অনেকের কাছে পরিচিত লাগতে পারে কেননা এর একটি ছোট ভাই রয়েছে যার নাম Sony -zv1। অর্থাৎ এর আগের মডেলটির শুধুমাত্র zv1 এবং এই মডেলের সর্বশেষ সংস্করণ ভার্সনটির নাম এর শেষে F যুক্ত করা হয়েছে। অর্থাৎ sony কোম্পানির ZV মডেলের সর্বশেষ আপডেট ভার্সনটির ক্যামেরার নাম হলো Sony -zv1F।তাহলে চলুন দেরী না করে ক্যামেরাটি সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

ব্লগারদের জন্য সেরা ৩ ক্যামেরা ব্লগ তৈরির জন্য

অনেকের মাথায় প্রশ্ন আসতে পারে zv1 মডেলের একটি ক্যামেরা থাকতে সনি কম্পানি আবার zv1F নামের এই ক্যামেরাটি কেন বাজারে নিয়ে আসলো। এছাড়াও অনেকে বলে থাকেন এই মডেলের ক্যামেরাটির কোয়ালিটি অনেকটাই একটি ভালো মানের স্মার্টফোনের কাছাকাছি। তাহলে আপনার কাছে যদি একটি ভালো মানের স্মার্টফোন থেকে থাকে তবে ইউটিউব ভিডিও নিয়ে কাজ করার ক্ষেত্রে আপনার এই ক্যামেরাটি ব্যবহার করা উচিত কিনা তা নিয়েও আজকে আমরা আপনাদের সাথে আলোচনা করব। আমি আগেই বলে রেখেছি এই ক্যামেরাটি শুধুমাত্র BEGGINER লেভেলের ইউটিউবারদের জন্য। এই ক্যামেরাটি সম্পর্কে কিছু বলার আগে আপনাদেরকে আমরা সনি কোম্পানির জেড ভি ক্যামেরা সিরিজ সম্পর্কে একটু ধারনা দিতে চাই।

বাজেটের মধ্যে বেস্ট ব্লগিং ক্যামেরা zv সিরিজ

সনি কম্পানি যতগুলো ক্যামেরা ZV সিরিজে বের করেছে সেগুলো মূলত এন্ট্রি লেভেলের ক্যামেরা। সবগুলো ক্যামেরা যথেষ্ট বাজেট সাশ্রয়ী এবং ক্যামেরাগুলো মূলত বিগিনার লেভেলের ইউটিউবারদের জন্য বানানো হয়েছে। এছাড়াও যারা ভ্রমণ করতে পছন্দ করেন এবং পাশাপাশি বিভিন্ন সময় ভিডিও করে থাকেন তারা এই ক্যামেরাটি ব্যবহার করতে পারেন। জনপ্রিয় এই প্রতিষ্ঠানটি এই সিরিজের মোট তিনটি ক্যামেরা বাজারে এনেছে।

প্রথমSONY- zV 1
দ্বিতীয়SONY- zV E10
তৃতীয়SONY- zV 1F

এই সিরিজের প্রত্যেকটি ক্যামেরা বাজারে আসার পর বেশ সাড়া ফেলে দিয়েছিল। এদের মধ্যে SONY- zV E10। ক্যামেরা টি চাইলে আপনি লেন্স চেঞ্জ করতে পারবেন কিন্তু এই সিরিজের অন্যান্য ক্যামেরা গুলোতে আপনি চাইলে ইন্ডিয়ানস চেঞ্জ করতে পারবেন না। যেসব ক্যামেরায় লেন্স চেঞ্জ করা যায় না সেসব ক্যামেরা কে বলা হয়ে থাকে পয়েন্ট এন্ড শুট ক্যামেরা। তার মানে হলো আপনি ক্যামেরাটা হাতে নেবেন এবং পয়েন্ট করে ভিডিও শুট করা শুরু করবেন। এই ক্যামেরাগুলো মূলত বিগেনারদের জন্য খুবই খুবই ফ্রেন্ডলি। একারণে সনি কোম্পানির এই সিরিজের প্রথম ক্যামেরাটি যখন বাজারে আনে তখন zv1 ক্যামেরাটি বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। এছাড়াও বাজেটের মধ্যে বেস্ট ব্লগিং ক্যামেরা হাওয়াই ইউটিউবারদের কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে ক্যামেরাটি।

SONY- zV 1

 

এরপর সনি কোম্পানী তাদের আরেকটি ক্যামেরা zv1 এফ বাজারের যখন নিয়ে আসে তখন আগের মডেলের অনেক সমস্যা দূর করে তবে আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে আগের ক্যামেরার তুলনায় ক্যামেরাটিতে বেশ কয়েকটি ফিচার বন্ধ করে দেয়। ফলে দুটি ক্যামেরার মধ্যে দামের আকাশ-পাতাল তফাৎ রয়েছে। বর্তমানে সনি কোম্পানির SONY- zV 1 ক্যামেরা টি অফিশিয়াল বাজারমূল্য ৬৩হাজার টাকা। এবং এই সিরিজের সর্বশেষ আপডেট ভার্সন ক্যামেরাটি অফিসিয়াল বাজার মূল্য SONY- zV 1F হল ৫৫ হাজার টাকা। অর্থাৎ এ ৭০০০ টাকা কম দিয়ে আপনি ZV1F ক্যামেরা টি নিলে কি কি সুবিধা পাবেন এবং পাশাপাশি আপনি কি কি অসুবিধা সম্মুখীন হতে পারেন তা নিয়ে আমরা আপনাদের মাঝে আলোচনা করব।

SONY- zV 1 ও SONY- zV1Fএর মধ্যে পার্থক্য

শুরুতেই আমরা কি দুটি ক্যামেরার মধ্যে কি কি ভিন্নতা রয়েছে তা আপনাদের মাঝে তুলে ধরি। দুইটি আমের মধ্যে সবচেয়ে বড় ডিফারেন্ট হল zv1 আপনারা একটি জুম লেন্স পাচ্ছিলেন যেটির ফোকাস লেন্স ছিল 24 to 70mm maximum aperture f/1.8/of f/2.8। কিন্তু দুঃখের বিষয় হল সনি কোম্পানী সর্বশেষ বাজারে আসা এই সিরিজের সনি z1 এফ ক্যামেরা টি তে কোন জুম লেন্স দেওয়া হয়নি। ক্যামেরাটি ফোকাস লেন্স হল 20mm maximum aperture f/2.0। অর্থাৎ এই ক্যামেরাটিতে আপনারা একটি ফিক্সট ফোকাস লেন্স পাচ্ছেন। সনি জেড ভি ওয়ান ক্যামেরাটি তে অপটিক্যাল ইমেজ এস্টাবিলাইজেশন ছিল বাট জেড ভি ওয়ান এফ ক্যামেরাটি তে ডিজিটাল image stabilization ব্যবহার করা হয়েছে।

এছাড়াও zv1 এর ওজন হল 294 গ্রাম এবং সনি z1 এফ এর ওজন হল 256 গ্রাম। অর্থাৎ তুলনামূলকভাবে জেট ভি ওয়ান এফ ক্যামেরাটি একটু ভারী। তবে ছবি তোলার ক্ষেত্রে zv1 ভালো কাজ করছে কেননা zv1 ক্যামেরাটিতে raw অপশন রয়েছে বাট zv1 ক্যামেরাতে raw অপশন নেই। এছাড়াও জেট ভি ওয়ান এফ ক্যামেরাটি তে হট শু মাউথ ব্যবহার করা হয়েছে তবে zv1f এফ ক্যামেরা টি তে কোল্ড শু মাউথ ব্যবহার করা হয়েছে। অর্থাৎ জেড ভি এক ক্যামেরাটিতে সনি কোম্পানির আদর যেকোন এক্সেসরিজ ব্যবহার করার ক্ষেত্রে কোন ক্যাবল এর প্রয়োজন হয় না কিন্তু জেড ভি ওয়ান ক্যামেরাটিতে কোল্ড শো মাউথ ব্যবহার করার কারণে অন্যান্য এক্সেসরিজ ব্যবহার করার জন্য আলাদা ক্যাবলের প্রয়োজন হবে।

তবে আপনি যদি ক্যামেরাটিতে ইউএসবি ব্যবহার করতে চান তবে এক্ষেত্রে সনি z1 এফ ক্যামেরাটিতে এগিয়ে থাকবে কেননা এতে type-c কানেকশন ব্যবহার করা হয়েছে। স্বাভাবিকভাবে তাই zv1 এফ ক্যামেরাটিতে ডাটা ট্রানস্ফার ক্ষমতা অনেক বেশি। সেই সাথে চার্জিং স্পিড ক্ষেত্রে এটি বেটার।

SONY- zV 1 ও SONY- zV1Fএর মধ্যে যেসব মিল রয়েছে

দুটি ক্যামেরাটি cmos সেন্সর ব্যবহার করা হয়েছে। এছাড়া আপনি চাইলে দুটি ক্যামেরাতে ফোরকে থেকে ৪কে থেকে থার্টি ইপিএসে ভিডিও শুট করতে পারবেন। এছাড়া দুটি ক্যামেরা দিয়ে আপনি ১০৮০p-১২০এফপিএস তে ভিডিও শুট করতে পারবেন। তবে স্লো মোশন ভিডিও তৈরির ক্ষেত্রে zv1 সুবিধা দিবে কেননা এই ক্যামেরা দিয়ে আপনি ১০৮০p -৯৬০ এফপিস তে ভিডিও শুট করতে পারবেন। তবে ভিডিও কোয়ালিটি ক্যামেরা প্রায় কাছাকাছি। দুটো ক্যামেরাতে টাইম ল্যাপস এবং স্লো মোশন এর ফিচারগুলো ব্যবহার করা হয়েছে। দুটো ক্যামেরাতে তিন ইঞ্চি ফুললি আর্টিকুলার ডিসপ্লে ব্যবহার করা হয়েছে যেটি আবার টাচস্ক্রিন। যেটা আমাদের কাছে বেশ ভালো লেগেছে। দুইটি ক্যামেরাতে শনির টপক্লাস আই ট্রেকিং আছে যার কারনে ক্যামেরাগুলো সহজে ছেড়ে দেয় না। দত্ত ক্যামেরাতে ব্লুটুথ ফিচার যুক্ত করা হয়েছে এবং দুটো ক্যামেরাই আপনি পিসিতে যুক্ত করতে পারবেন।


SONY- zV E10

Sony ZV E10 Bangla Review

এখন যদি আপনি ব্যাটারি ব্যাকআপ এর কথা চিন্তা করে থাকেন তবে ব্যাটারি ব্যাকআপ এর ক্ষেত্রে zv1f বেটার পারফরম্যান্স করবে। এগুলো ভালো হতো পেপার স্পিসিফিকেশন। অর্থাৎ ক্যামেরা টি কেনার পরে আপনি দুইটি ক্যামেরার মধ্যে কি কি মিল এবং অমিল খুঁজে পাবেন। ক্যামেরা দুটির মধ্যে কোন ক্যামেরা টি তে কি কি ফিচার যুক্ত করা হয়েছে এবং কি কি ফিচার ডাউন করে দেয়া হয়েছে আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন। এখন কথা হল আপনি কোন ক্যামেরাটি কিনবেন অথবা আপনার কাছে একটি ভালো স্মার্টফোন থাকা সত্ত্বেও আপনি এই ক্যামেরাগুলো কেন কিনবেন?

বাজেটের মধ্যে বেস্ট ব্লগিং ক্যামেরা টি কেন কিনব

SONY- zV 1F ক্যামেরামূলত টার্গেট করা হয়েছে ব্লগিং এর জন্য। এছাড়াও বিগিনার ইউটিউবারদের জন্য ক্যামেরা টি বাজেটের মধ্যে বেস্ট ব্লগিং ক্যামেরা। ক্যামেরা টি খুব ছোট হওয়ার ভিডিও তৈরি করার ক্ষেত্রে আপনি বেশ কয়েকটি সুবিধা পেয়ে যাবেন। ছোট আকৃতির হাওয়ায় আপনি হাতে ধরে ভিডিও ধারণ করতে পারবেন। ভিডিও তৈরি করার সময় আপনি যখন ক্যামেরাটি ঘুরাবেন তখন অটোমেটিক নোয়জ তৈরি হবে। এছাড়াও সনি z1 এফ এর মাইক্রোফোন যথেষ্ট উন্নত মানের। অর্থাৎ ক্যামেরাটি দিয়ে ক্ষেত্রবিশেষে আপনি করতে শুট পারবেন। এখন আপনার কাছ থেকে একটি ফ্ল্যাগশিপ মডেলের মোবাইল ফোন থেকে থাকে তবে তার ক্যামেরার সাথে আপনি এই ক্যামেরা ভিডিও কোয়ালিটি প্রায় কাছাকাছি ধরতে পারবেন।

আবার ক্ষেত্রে বিশেষ আপনি যদি ক্যামেরা এবং মোবাইলের মধ্যে কোয়ালিটি পার্থক্য করতে চান তবে অবশ্যই ক্যামেরাটির কোয়ালিটি বেটার হবে কেননা এতে ওয়ার্নিং সেনসর রয়েছে। শেষ এতে ভিডিও তৈরি অথবা ছবি তোলার ক্ষেত্রে আপনি ক্যামেরাতে ডিটেলস এবং শার্পনেস বেশি পাবেন। এছাড়াও ক্যামেরাটিতে একটি বাটন রয়েছে যার মাধ্যমে আপনি ব্যাকগ্রাউন্ড ব্লার অথবা ফল ফোকাস করে নিতে পারবেন। এসব ফিচার আপনি আপনার ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোন পেয়ে যাবেন কিন্তু এতো স্মার্টলি পাবেন না। তবে এ স্মার্টফোনের একটি ভালো দিক হলো ডায়নামিক রেঞ্জ। স্মার্টফোনের ডায়নামিক রেঞ্জ খুবই ভালো কিন্তু এই ক্যামেরায় ডায়নামিক রেঞ্জ পারফরম্যান্স অতটা ভালো না।

এবার আসা যাক SONY- zV 1 ও SONY- zV1Fএর মধ্যে যেসব মেজর সমস্যা রয়েছে। zv1 ক্যামেরাটিতে ২৪মিলিমিটার লেন্স ব্যবহার করা হয়েছে কিন্তু zv1f ক্যামেরা টি ২০ মিলিমিটার লেন্স ব্যবহার করা হয়েছে। এছাড়াও আগে ক্যামেরাটি একটু টাইট ছিল। সেইসাথে আপনি যদি আগের ক্যামেরাটির ওআইএস ওপেন করেন তবে ক্রপ হয়। পাশাপাশি আপনি যদি ইআইএস অপশনটিও অন করেন তবে আরেকটু ক্রপ হয়। সেটা আপনি যদি ৪কে তে ভিডিও করতে চান তবে ইমেজ আরো ক্রপ হতে থাকে। আপনি যদি হাত সোজা সামনে রেখে ভিডিও তৈরি করেন সে ক্ষেত্রেও অনেক সময় দেখা যায় যে ইমেজ কেটে যায়। ফলে আপনি যখন ব্লক ভিডিও তৈরি করবেন তখন নানা রকম সমস্যার সম্মুখীন হবেন। তবে এই ধরনের কোন সমস্যা আপনি SONY- zV1F ক্যামেরাটিতে পাবেন না। এটির ইআইএস অন করলে যেমন বেশি ইমেজ কেটে যায় না ফলে আপনি খুব সহজে হাতে ধরে ভিডিও ধারণ করতে পারবেন। এটি হলো সনি সিরিজের zv1 ক্যামেরা টি না নিয়ে zv1f নেওয়ার মূল কারণ।

SONY- zV1F ফাংশন ও অন্যান্য ফিচার

SONY- zV1F ক্যামেরাটিতে ইউজার ফ্রেন্ডলি মেনু সিস্টেম দেওয়া হয়েছে ফলে একজন নতুন ইউজার যখন ক্যামেরা টি ফাংশন ও অন্যান্য মেনু সিস্টেম খুব সহজে ব্যবহার করতে পারবেন। তবে এই ক্যামেরাটির ইন্টার্নাল মাইক্রোফোন এর ক্ষেত্রে সামান্য সমস্যা রয়েছে আপনি যখন ক্যামেরাটি ব্যবহার করবেন তখন অবশ্যই উইন্ডোজ স্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে। না হলে যদি বাতাস নাও থাকে তাও আপনার হাতের নড়াচড়া ফলে বাতাসের সাউন্ড চলে আসবে। এটি অ্যাকশন ক্যামেরার না হলেও ব্লগিং ক্যামেরার ক্ষেত্রে যথেষ্ট ভাল। ক্যামেরাটির স্ট্যাবিলাইজেশন নিয়ে আমাদের তেমন কোন সমস্যা নেই। ক্যামেরাটিতে ডিজিটাল এর একটি ফিচার যুক্ত করার রয়েছে তবে যদি আপনি জুম করেন তবে ইমেজ কোয়ালিটি তেমন ভালো থাকেন না।

ক্যামেরাটির একদম বাম পাশে কোল্ড শো মাউথ রয়েছে এবং তার পাশে রয়েছে স্পিকার। এর পাশে অন-অফ বাটন রয়েছে এবং তার পাশে রয়েছে মোড বাটন রয়েছে। যার মাধ্যমে আপনারা ভিডিও ধারন করার সময় বিভিন্ন মুড ব্যবহার করতে পারবেন। তার পাশে একটি বড় রেকর্ড বাটন রয়েছে। তার ঠিক উপরে ডান পাশে রয়েছে ব্রাইটনেস বাটন যার মাধ্যমে আপনি ব্যাকগ্রাউন্ড ব্লার অথবা ক্লিয়ার করতে পারবেন। এরপর সর্বশেষ জি বাটনটি রয়েছে তার মাধ্যমে আপনি জুম-ইন এবং জুম আউট করতে পারেন। এবার যদি আমরা ক্যামেরার সামনের দিকের বাটনগুলো নিয়ে কথা বলে তবে সবার প্রথমে যে বাটনটি রয়েছে তার নাম হলো মেনু বাটন এবং তার পাশের বাড়ির নাম হলো ফাংশন বাটন।মাঝখানে বাটনটির নাম হলো ওকে বাটন। ঠিক নিচে রয়েছে ভিডিও প্রিভিউ করার বাটন এবং ডিলিট কাটুন। এছাড়া ক্যামেরা টি তে রয়েছে ইউএসবি টাইপ সি এবং তার পাশে রয়েছে মাইক্রোফোন ব্যবহার করার অপশন।

আপনার কাছে যদি একটি ফ্ল্যাগশিপ মডেলের স্মার্টফোন থেকে থাকে তবে আমি বলব এই ক্যামেরাটি আপনার এখন আর তেমন কোনও কেনার প্রয়োজন নেই কেননা এই ক্যামেরাটির ভিডিও কোয়ালিটি এবং একটি ফ্ল্যাগশিপ মডেলের মোবাইলের ভিডিও কোয়ালিটি অনেকটা একই।

আপনার মূল্যবান সময় আমাদের ওয়েবসাইটে দেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। পাশাপাশি আপনার মূল্যবান মতামত জানাতে ভুলবেন না। আশা করি আজকের এই আর্টিকেলটি মাধ্যমে আপনি নতুন কিছু জানতে ও শিখতে পেরেছেন। যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনি আপনার সকল বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করতে পারেন।

আপনার বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করুন
About The Author
Rafi Bhuiyan
আসসালামুয়ালাইকুম আমার নাম Rafi Bhuiyan। BD YouTube Community ওয়েবসাইট আমি পরিচালনা করি আমার সাথে আরো কয়েকজন বন্ধু আছে। পাশাপাশি আমরা বর্তমান সময় বাংলাদেশের বড় বড় ইউটিউব চ্যানেল পরিচালনার দায়িত্ব পালন করছি দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের ওয়েবসাইটে আপনার মূল্যবান সময় দেওয়ার জন্য।