আসসালামুআলাইকুম বন্ধুরা আজ আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো ইউটিউবে শর্ট ভিডিও ভাইরাল করার নিয়ম।আজ আমি আপনাদেরকে এমন একটি ট্রিকস শেয়ার করব যার মাধ্যমে আপনাদের ইউটিউব শর্ট ভিডিও খুব সহজে ভাইরাল হয়। জানি হয়তো আপনার বিশ্বাস করছেনা তাই আমরা আপনাদেরকে প্রমান সহকারে এ পদ্ধতি আপনাদের মাঝে তুলে ধরব। আমরা এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে ও নিচে থাকা দুইটি ইউটিউব ভিডিওর মাধ্যমে খুব সহজে ইউটিউব ভিডিও ভাইরাল করা শিখতে পারবো। পাশাপাশি আপনি যাতে বিষয়টি খুব ভালোভাবে বুঝতে পারেন এই কারণে আমি আপনাদের জন্য ইউটিউব ভিডিওর নিচে শেয়ার করেছি। বিস্তারিত আলোচনা ও বিস্তারিত বিবরণ নিচে দেওয়া আছে।
আমাদের ভিতর অনেকে আছে যারা নিয়মিত ইউটিউবে শর্ট ভিডিও বানিয়ে নিয়মিত নিজেদের ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করে থাকেন। তবে হয়তো কোন কারনে আপনাদের সেই ভিডিওগুলো ইউটিউবে ভাইরাল হয় না যার কারণে আপনারা সাকসেস হতে পারছেন না। চিন্তা করার কোনো কারণ নেই আমি আপনাদের মাঝে কাছে মাত্র দুটো টেকনিক শেয়ার করব যার মাধ্যমে আপনি খুব দ্রুতই আপনাদের ইউটিউব শর্ট ভিডিও ভাইরাল করতে পারবেন।
আমরা জানি যে এ বছরের পহেলা ফেব্রুয়ারি থেকে শর্ট ভিডিও গুলোতে অ্যাড শো শুরু করেছে। ইউটিউব এর নতুন এই সিদ্ধান্তের মানে হলো আপনি এখন থেকে শর্ট ভিডিও দিয়ে নিজে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। এজন্য অবশ্যই আপনাকে আপনার ভিডিওটি ভাইরাল করতে হবে। ইউটিউবে শর্ট ভিডিও ভাইরাল করার নিয়ম আপনাদের মাঝে সঠিকভাবে তুলে ধরার জন্য নিচে একটি ভিডিও এড করা হয়েছে আপনারা চাইলে দেখে নিতে পারেন। আর যারা বিস্তারিতভাবে জানতে চান তারা পুরো পোস্টটি ধৈর্য্য সহকারে পড়ুন।
ভিডিওতে বিস্তারিতভাবে শর্ট ভিডিও ভাইরাল করার সহজ উপায় তুলে ধরা হয়েছে। আমরা সবাই ইউটিউবে নিজেদের ভিডিও ভাইরাল করতে চাই কিন্তু কিভাবে ভাইরাল করতে হয় সেই টেকনিক আমাদের অনেকেরই জানা নেই। আশাকরি উপরে টিউটোরিয়াল ভিডিওগুলো দেখে ইউটিউব ভিডিও ভাইরাল করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত একটি ভাল ধারণা পেয়েছেন। এখন যদি ভিডিও ভাইরাল করার সম্পর্কে আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে অবশ্যই নিচে কমেন্টের মাধ্যমে আমাদেরকে জানাবেন BD Youtube Community টিম সবসময় আপনাকে সাহায্য করবে।
জারাসা ভিডিও দেখে শর্ট ভিডিও ভাইরাল করার নিয়ম বুঝতে পারেননি তারা বিস্তারিতভাবে নিচের আরো পড়ুন তাহলে আশাকরি আপনারা আপনাদের সমস্যার সমাধান পেয়ে যাবেন। আগেই বলে রাখি আপনার সব শর্ট ভিডিও সবসময় ভাইরাল হবে না হাতেগোনা কয়েকটি শর্ট ভিডিও ভাইরাল হবে। তবে মজার বিষয় হলো যে শর্ট ভিডিওর ক্ষেত্রে মোটামুটি ভালো ভিউ পাওয়া যায়। তবে আপনাকে অবশ্যই ভিডিও বানানোর ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে ভিডিও কোয়ালিটি যাতে সব সময় ঠিক থাকে। সব সময় শুধুমাত্র ভালো কোয়ালিটি ফুল ভিডিও ইউটিউবে আপলোড করবেন কিন্তু খারাপ কোয়ালিটির ভিডিও গুলো কখনো ইউটিউবে আপলোড করবেন না। এছাড়াও আপনার ভিডিও সৌরজগতের দেখতে মজা সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে।
রেকর্ড ভয়েস ভয়েস থেন এক্ট এই ধরনের ভিডিও তে প্রচুর পরিমাণে ভিউ পাওয়া যায়। এই ধরনের ভিডিও বানানোর ক্ষেত্রে ভয়েস গুলো আগে এড করে নেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ তার আগে ভয়েস রেকর্ড করে নিয়েছে। পরবর্তীতে তারা যখন ভিডিও করতেছিলো তখন শুধুমাত্র তারাই ওই রেকর্ডিং অডিও এর সাথে লিপসিং করছিল। সুতরাং আপনাকে এই পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে। সাধারণত আমরা যখন ভিডিও বানিয়ে থাকি তখন ভিডিওর মধ্যে আমরা আমাদের ভয়েজ দিয়ে দিই। আর এটাই আমাদের সবচেয়ে বড় ভুল। এটা কখনও করা যাবে না। আগে থেকে আপনাকে আপনার অডিওটি রিপোর্ট করে নিতে হবে এরপর তাকে যখন ভিডিও বানাবেন তখন তার সাথে তাল মিলিয়ে লিপসিং করতে হবে। আপনি চাইলে অন্য কোন ভিডিওস আছে ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার এর মাধ্যমে আপনার রেকর্ডিং করা অডিওটি এড করতে পারেন।
এতে করে আপনার শর্ট ভিডিওটি খুব দ্রুত ভাইরাল হবে যার গ্যারান্টি। আমাদের ভিতরে অনেক আসে যারা টেকনিকটা জানেন না। আমাদের জানা মতে এসব ইউটিউবাররা নিয়মিত শর্ট ভিডিও বানিয়ে থাকেন তাদের মধ্যে শতকরা ১ শতাংশ এই টেকনিক ইউজ করে থাকে। তাই সাধারণভাবে তাদের ভিডিওগুলো ভাইরাল হচ্ছে বাট আপনার ভিডিওটি ভাইরাল হয় না। তাই সবকিছু বাদ দিয়ে আজ থেকে এই টেকনিক ব্যবহার করা শুরু করুন। এতে করে আপনার ভিডিওটি বেশী মানুষ দেখবে কারণ এতে করে আপনার ভয়েস দেশে ভিডিওতে ফুটে উঠবে। যা দর্শকদের আকৃষ্ট করবে এবং দর্শকরা দীর্ঘসময় ধরে আপনার ভিডিওটি দেখবে। এতে করে আপনার ইউটিউব চ্যানেল ওয়াচ টাইম বৃদ্ধির পাশাপাশি আপনার ইউটিউব চ্যানেলটি দ্রুত সাকসেস হবে।
যে কথাটি আপনি একটু আগে পড়লেন সেই পদ্ধতি অনুসরণ করে আপনাকে ভিডিও তৈরি করতে হবে। এটি হলো আপনার শর্ট ভিডিও তৈরি করার সবচেয়ে সহজ উপায়। ইউটিউবে শর্ট ভিডিও ভাইরাল করার নিয়ম এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং কার্যকরী পদ্ধতি হল এটি। এ ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই ইউটিউবে কোন ভিডিও গুলোর সবচেয়ে বেশি ভিউ হয়ে থাকে সেটি আপনাকে সবার আগে বুঝতে হবে। আমাদের জাহাজের সবচেয়ে বেশি ভিউ হয়ে থাকে youtube-এর ফানি ভিডিও গুলোতে এবং এরপরে যদি অন্য কোন ক্যাটাগরির ভিডিওতে ভিউ বেশি হয়ে থাকে তাহলে স্যাড ইমোশনাল ভিডিও। তাই আজ থেকে আপনি এইধরনের ভিডিও বানানোর চেষ্টা করুন।
এর পাশাপাশি আরেকটি ক্যাটাগরির ভিডিওতে সবচেয়ে বেশি ভিউ হয়ে থাকে সেটা হল মোটিভেশনাল ভিডিও। মূলত মানুষকে মোটিভেট করে এমন ধরনের ভিডিও যেসব চ্যানেল তৈরী করছে সেগুলো এখন ইউটিউবে টপ রেংকিং অবস্থান করছে। কেননা মোটিভেটেড ভিডিওগুলো দর্শকদের সবচেয়ে বেশি আকৃষ্ট করে থাকে। অনেক মানুষ আছেন যাদের শুধু ঘরে বসে শুয়ে থাকা অলস সময় পার করা তুমি চাইলে যাদের জন্য মোটিভেশনাল ভিডিও বানাতে পারো। এখন যারা আপনারা আমাদের এই পোস্টটি পড়েছেন তারা অনেকেই আছেন এই পোস্ট সম্পর্কে সিরিয়াস না আবার যারা এই পোস্টটি সম্পর্কের সিরিয়াস তারা পুরো পোস্টটি পড়বেন এবং পরবর্তীতে তারা এ পদ্ধতি গুলো তাদের ভিডিওতে এপলাই করবে।
এই ধাপটি প্রত্যেক প্রত্যেক ইউটিউবারদের ভিডিও তৈরীর ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে। আপনি যেকোন ধরনের ভিডিও বানানোর না কেন দর্শকদের আকৃষ্ট করার ক্ষেত্রে ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। একজন দর্শক একটি ভিডিও কতটুকু দেখবে তা নির্ভর করে অনেকটাই ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক এবং ওই ভিডিওর টপিকের উপর। প্রত্যেকটি ইউটিউব ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পেছনে ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যেমন ধরুন আপনি একটি স্যাড ভিডিও বানাবেন সেক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই স্যাড ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক ব্যবহার করতে হয়। একইভাবে আপনি যখন ফানি বা মোটিভেশনাল ভিডিও তৈরি করবেন তখন আপনাকে মতিভেশনাল বা ফানি ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক ব্যবহার করতে হবে।
এই জিনিসগুলো আপনার ভিডিওতে ভাইরাল করবে এবং আপনার ভিডিওগুলো কে দেখতে দারুন করবে। আজকের জন্য অনেক সময় দেখা যায় যে মানুষ ভুলভাল শর্ট ভিডিও বানাই বাট সেগুলো স্বাভাবিকভাবেই ভাইরাল হবে না। কেননা সেখানে দর্শকদের দেখার মত কিছুই নেই। আপনাকে হয় ফানি নয়তোবা স্যাড অথবা মোটিভেশনাল ভিডিও বানাতে হবে। যেকোনো ধরনের ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক ডাউনলোড করার জন্য আপনি আমাদের ওয়েবসাইটের ব্যাকগ্রাউন্ড ক্যাটাগরি ভিজিট করতে পারেন। এছাড়া আপনি যখন কোন ভিডিও গান ইউটিউবে আপলোড করবেনতখন সেই ভিডিওটি দশটি ইউনিক মোবাইল দিয়ে ভিডিও করুন। এতে করে আপনার ভিডিওটি শর্ট সেকশনে রাঙ্ক খুলবে। এতে করে আপনার শর্ট ভিডিওতে ভাইরাল হবে এবং আপনার ইউটিউব চ্যানেল গ্রোও করবে। আপনার আকাঙ্ক্ষিত ৪০০০ ঘন্টা অথবা ১০ মিলিয়ন ভিউ এনে দেবে এবং আপনার সাবস্ক্রাইভ সংখ্যা হাজার ছাড়িয়ে যাবে।
আজকের এই আর্টিকেলটি সম্পর্কে আপনার কোন মতামত থাকলে তা কমেন্টে মাধ্যমে আমাদেরকে জানাতে পারেন। BD Youtube Community টিম আপনাকে সব সময় সব ধরনের সাহায্য করবে। আর্টিকেলটি ভালো লাগলো আপনার বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে তাদেরকেও পড়ার করার সুযোগ করে দিন। ইউটিউব সম্প্রতি এই ধরনের আরো অনেক আর্টিকেল আমাদের ওয়েবসাইটে রয়েছে আপনি চাইলে আমাদের ওয়েবসাইটে ঘুরে দেখতে পারেন। ইউটিউব সম্পর্কে এ ধরণের আরো নতুন নতুন তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইট টি সাবস্ক্রাইব করুন আর যারা সাবস্ক্রাইব করেছেন তাদেরকে ধন্যবাদ।
